Full width home advertisement

Post Page Advertisement [Top]



 জেনেনিন কিছু বিষ্ময়কর জায়গা সম্পর্কে 




বিয়ার লেক আরোরা (Bear Lake Aurora): 


বিয়ার লেক অবস্থিত আলাস্কায়। আরোরা অর্থ আকাশের মনরোম রঙ্গিন আলোর খেলা।এটাকে উত্তরের আলো বা (Northern Light)-ও বলা হয়। বিয়ার লেক আরোরা প্রকৃতির এক আশ্চর্য সৃষ্টি। এর ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো। প্রাচীণ লোককথা থেকে জানা যায়, এই আনিন্দ্য সুন্দর আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করেছিলো রোমান সুর্যদয়ের দেবতা আরোরা (Aurora)। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেযে সুর্যবায়ু সাথে যখন পৃথিবীর চোম্বকক্ষেত্রের সংঘর্ষ ঘটে তখনি এই রহস্যময় আলোর উৎপত্তি হয়। শুধু আলাস্কার বিয়ার লেকই নয়, কানাডা্ ,অস্ট্রেলিয়া সহ মেরু অঞ্ছলের অনেক দেশেই আরোরা দেখা যায়। নীচে আরো কিছু ছবি দেয়া হলো।











শ্যাম্পেন লেক(Champagne lake): 


না, এটা শেম্পেন দিয়ে ভরপুর কোনো লেক না। এটা কে বলা যায় প্রকৃতির এক বিশ্বয়কর সৃষ্টি।এই লেকটি নিউজিল্যান্ডএর Wai-O-Tapu te অবস্থিত। Wai-O-Tapu জায়গা টি আবার রুটুরুয়া (Roturua) তে অবস্থিত। মাউরি ভাষা থেকে অনুবাদ করলে জানা যায় Wai-O-Tapu এর অর্থ হল পবিত্র বা রঙ্গিন পানি। আর রুতুরুয়া এর অর্থ হল কাহুমাতামোমিও (Kahomatamomoe) এর মহান লেক। শুধু শেম্পেন লেকই নয় তার আসপাশ পুরো এলাকাটিই আরো অনেক প্রাকৃতিক বৈশিষ্টে পরিপুর্ণ। পুরো রুটুরুরা অঞ্চলটিই তিব্র ভাবে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি,পানি ও বাষ্প, ও আরো বহু অদ্ভুত প্রাকৃতিক বৈশিষ্টে গঠিত ও পরিপুর্ণ। ছবিতে কমলা রঙের তাকের মত যেই অংশ টি দেখা যাচ্ছে এটা হল গ্রাফাইটের ভান্ডার এবং শেম্পেন এর মত বুদবুদ আকারে যেই গ্যাস উঠছে তা হল কার্বনডাই অক্সাইড। আরো কিছু ছবি।














শ্বেত মরুভুমি(The white desert)মিশর: 


শ্বেত মরুভুমি বা The white desert দেখি পৃথিবীর অন্যতম একটি বিষ্ময়। চোখ ধাধানো সাদা এই মরুভুমির ইতিহাস থেকে জানা যায় যে ঐতিহাসীক যুগের পুর্বে সাহারা মরুভুমি যখন পানির নিছে ডুবে ছিল তখন তার একটি অংশে খরিমাটি জমতে থাকে। এরপর যখন আস্তে আস্তে যখন এই জায়গা টি সমুদ্রপৃষ্টের উপরে চলে আসে তখন জমেথাকা খরিমাটির ভান্ডার সাহারা মরুভুমির মাঝে অপুর্ব সুন্দর এই শ্বেত মরুভুমির সৃষ্টি করে।মিসরের ফারাফ্রা মরুদ্যানের এই অঞ্ছলটি তাই তাই প্রকৃতির এক অপুর্ব সৃষ্টি। এটী ফারাফ্রা অঞ্চলের ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। তার পাশে রয়েছে ব্লাক ডেসার্ট ও ক্রিস্টাল মাউন্টেইন। The white desert আরো কিছু ছবি।















পামুক্কালা (Pamukkala) তুরস্কঃ


আশাকরছি ছবি দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন যে এটি একটি বরফের পাহাড়!! তাহলে আপনি ভুল বুজেছেন... আসলে বরফ বা বরফের পাহাড় নয়। এই পাহার বা ঝর্না সৃষ্টি হয়েছে স্ফটিকের মত ক্যালসিয়াম থেকে। তুর্কি ভাষা থেকে অনুবাদ করলে পামুক্কালা (Pamukkala) অর্থ দাঁড়ায় তুলো। হাজার বছর আগে থেকে এখন পর্জন্ত এর সৌন্দর্জ মানুষকে পুলকিত করে আসছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, পামুক্কালা সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ১০০০ বছর আগে। ১০০০ বছর আগে তুরুস্কের দিঞ্জিল অঞ্ছলে একটি শক্তিশালী ভুমিকম্প সংঠিত হয়। এর ফলে মাটিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়ে ঝর্নার মাধ্যমে বেড়িয়ে আসে ক্যলসিয়াম সমৃধ্ব পানি। তারপর যুগে যুগে এই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পানি প্রবাহের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সৃষ্টী হয় অনিন্দ সুন্দর শ্বেত ঝর্নার পাহাড়। অনেকে এই ঝর্ণায় গোসল করে নিজেদের ধন্য মনে করে। পরবর্তিতে রোমানরা এই পাহাড়ের উপরে শহর নির্ম্নান করে যার নাম ছিল হাইরাপলিস(Heirapolis)।এর অর্থ হল পবিত্র শহর। নীচে পামুক্কাল্লা-এর আরো কিছু ছবি।













রেসট্রাক প্লায়া(racetrack playa): 


 এখন আমি আপনাদের যে জায়গাটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো নিঃসন্দেহে তা এই পৃথিবীর অন্যতম বিষ্ময়। কারন এই জায়গাটি আমেরিকার ক্যলিফোর্নিয়ায় অবস্থিত হলেও কারন সয়ং আমেরিকা্নরাই এই স্থানের রহস্য এখনো বের করতে পারেনি।
পাশের ছবিটি ভালো করে দেখুন। মনে হচ্ছে একটি পাথর, অনেক দূর থেকে সেটি গরিয়ে এসেছে। ঠিক গরিয়ে বললে ভুল হবে। বলা যায় মাটিতে চাপ প্রয়োগ করে সামনে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু কীভাবে...??
যারা আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া আঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন তাদের কাছে এই জায়গা টি পরিচিত হতেপারে।রেসট্রাক প্লায়া নামক রহস্যময় জায়গা টী ক্যালিফোর্নিয়ার মৃত্যু উপত্যকায় অবস্থিত।এই জায়গা টিকে পৃথিবীর সবচেয়ে সমতল ভুমি বলা হয়। তার সবচেয়ে অদ্ভুত ও রহস্যজনক ব্যাপারটি হল এর ভাসমান পাথর। হ্যাঁ, ঠিকি ধরেছেন। ছবির এই পাথরটি নিজে নিজেই পথ চলে এভাবে সামনে এগিয়ে এসেছে। মজার ব্যাপার হল যে কিভাবে এই পাথরগুলোএইভাবে ভেসে ভেসে এসেছে তার কোনো ডকুমেন্ট বা ভিডিও কারো কাছে নেই । নেই বলতে নেটে কোথাও পাইনি। এই ভেসে বেড়ানোর কারন হিসাবে ধারনা করা হয়, এই অঞ্চলের বায়ু প্রবাহ পাথরের এই প্রবাহের জন্য দায়ী। ব্যাখ্যা স্বরূপ তাদের মতে, শীতকালে যখন এই মরুভুমিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় তখন Racetrack Playa প্রচুর পিচ্ছিল হয়ে যায়। তখন প্রবল বায়ু প্রবাহের ফলে পাথর গুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তর করে। কিন্তু সূদুর পর্বতমালা থেকে একটি ভারী ও ছোট আয়তনের পাথরকে কি এভাবে আনা সম্ভভ? উত্তর আজো অজানা। আরো কিছু ছবি দেখুন নীচে।

















================================================================



এখানে প্রকাশিত সকল তথ্যই ওয়েব সাইট থেকে Google ও WikiPedia - এর মাধ্যমে সংগ্রীহিত। তাই ইহা যদি কোন ওয়েব সাইট/ব্লগ বা অন্য কোন প্রকাশনার সাথে মিলে যায় এর জন্য লেখক দায়ী নয়। এই পোষ্টটি লেখা প্রর্যন্ত উপরে বর্নিত তথ্য গুলোই সর্বশেষ তথ্য বলে বিবেচিত। এই লেখা প্রকাশের পরে যদি এ সকল তথ্যের কোন পরিবর্তন হয় তবে তা পাঠককে নিজ দায়িত্বে জেনে নিতে অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি সেসকল তথ্য আমাদের জানালে আমরা আমাদের পোষ্টে তা আপডেত করব।

কেমন লাগলো জানাবেন আশা করি। ধন্যবাদ।



No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]